বগুড়া ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

সোনাতলায় লাম্পিং স্কিন রোগের মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 50
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়  লাম্পিং স্কিন রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরাসহ সাধারণ কৃষকরা।উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস বলছে গত ৩০ দিনে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫/৩০টি গরু মারা গেছে ওই উপজেলায়।তবে উপজেলার ইউনিয়ন গুলো থেকে জানা যায়, এই মরণব্যাধি রোগে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়,সোনাতলা উপজেলার সাধারণ কৃষক ও খামারীরা বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ গরু লালন পালন করছেন। গত জুলাই মাস থেকে হঠাৎ গরুর লাম্পিং স্কিন রোগ দেখা দেয়।এটি ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় ধীরে ধীরে এ রোগটি মহামারী আকার ধারণ করে। ফলে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন গরুর খামারি ও সাধারণ  কৃষকরা।
লাম্পিং স্কিন রোগে কোন গবাদি পশু আক্রান্ত হলে প্রথমে গরুর শরীরের চামড়া গুটি গুটি হয়ে ফুলে যায়। গায়ে জ্বর আসে, নাক ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে। এসময় খাবারের রুচি কমে যায় গরুর। ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় এ রোগের শুরুতেই ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলেও বাজারে এখন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে বলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানান।তবে এ রোগে আক্রান্ত গরুকে মশা-মাছি থেকে দূরে রাখতে মশারী টাঙ্গানো, ক্ষতস্থানের যত্ন নেওয়া,লেবু নিম পাতার রস এবং গরম পানি খাওয়াল এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, দিগদাইড়,শিহিপুর,পাঠানপাড়া,বালুয়া,কামারপাড়া, শালিখা,সোনাকানিয়া,শ্যামপুর,দড়িহাসরাজ,কাবিলপুর,রাণীরপাড়া,গাড়ামারা এলাকার গরুখামারি ওই সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক ও খামারীদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গোয়াল ঘরেই মারা গেছে।
দিগদাইড়ের সনজু মিয়া জানান, আমি ঘরোয়া ভাবে গরু পালন করি। কিছুদিন আগে, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার একটি গরু মারা গেছে। অনেক চেষ্টার পরেও বাঁচাতে পারিনি।

সোনাতলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নুশরাত জাহান লাকি জানান, গত ১ মাসে এ উপজেলায় প্রায় ২৫/৩০টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।তবে সেগুলো ছোট।রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সোনাতলায় লাম্পিং স্কিন রোগের মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু

আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়  লাম্পিং স্কিন রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরাসহ সাধারণ কৃষকরা।উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস বলছে গত ৩০ দিনে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫/৩০টি গরু মারা গেছে ওই উপজেলায়।তবে উপজেলার ইউনিয়ন গুলো থেকে জানা যায়, এই মরণব্যাধি রোগে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়,সোনাতলা উপজেলার সাধারণ কৃষক ও খামারীরা বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ গরু লালন পালন করছেন। গত জুলাই মাস থেকে হঠাৎ গরুর লাম্পিং স্কিন রোগ দেখা দেয়।এটি ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় ধীরে ধীরে এ রোগটি মহামারী আকার ধারণ করে। ফলে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন গরুর খামারি ও সাধারণ  কৃষকরা।
লাম্পিং স্কিন রোগে কোন গবাদি পশু আক্রান্ত হলে প্রথমে গরুর শরীরের চামড়া গুটি গুটি হয়ে ফুলে যায়। গায়ে জ্বর আসে, নাক ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে। এসময় খাবারের রুচি কমে যায় গরুর। ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় এ রোগের শুরুতেই ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলেও বাজারে এখন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে বলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানান।তবে এ রোগে আক্রান্ত গরুকে মশা-মাছি থেকে দূরে রাখতে মশারী টাঙ্গানো, ক্ষতস্থানের যত্ন নেওয়া,লেবু নিম পাতার রস এবং গরম পানি খাওয়াল এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, দিগদাইড়,শিহিপুর,পাঠানপাড়া,বালুয়া,কামারপাড়া, শালিখা,সোনাকানিয়া,শ্যামপুর,দড়িহাসরাজ,কাবিলপুর,রাণীরপাড়া,গাড়ামারা এলাকার গরুখামারি ওই সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক ও খামারীদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গোয়াল ঘরেই মারা গেছে।
দিগদাইড়ের সনজু মিয়া জানান, আমি ঘরোয়া ভাবে গরু পালন করি। কিছুদিন আগে, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার একটি গরু মারা গেছে। অনেক চেষ্টার পরেও বাঁচাতে পারিনি।

সোনাতলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নুশরাত জাহান লাকি জানান, গত ১ মাসে এ উপজেলায় প্রায় ২৫/৩০টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।তবে সেগুলো ছোট।রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।