বগুড়া ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, পাঁচ আসামি রিমান্ডে

বগুড়া বুলেটিন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 60
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৬ আগস্ট) সখীপুর-নাগরপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন। আর গ্রেফতারের পরদিনই আরেক আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বুলবুল আহমেদ (২৪), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), লাবু মিয়া (২৬), আসিফ (২৩), শফিক আহমেদ (২৫) ও মোজাম্মেল (৩০)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, রোববার গ্রেফতার পাঁচ যুবকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতের বিচারক। আজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানা হাজতে আনা হচ্ছে। এর আগে গ্রেফতার হওয়ায় আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৩ আগস্ট বিকেলে ভুক্তভোগী তার স্বামীর সঙ্গে উপজেলার কচুয়া এলাকায় একটি কলেজে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার দিকে তাদের পথরোধ করেন কয়েকজন যুবক। এসময় তাদের দুইজনকে ধরে কলেজটির পাশে গজারি বনে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। পরে খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাতেই সখীপুর থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। মামলার পরপরই ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, পাঁচ আসামি রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৬ আগস্ট) সখীপুর-নাগরপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন। আর গ্রেফতারের পরদিনই আরেক আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বুলবুল আহমেদ (২৪), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), লাবু মিয়া (২৬), আসিফ (২৩), শফিক আহমেদ (২৫) ও মোজাম্মেল (৩০)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, রোববার গ্রেফতার পাঁচ যুবকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতের বিচারক। আজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানা হাজতে আনা হচ্ছে। এর আগে গ্রেফতার হওয়ায় আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৩ আগস্ট বিকেলে ভুক্তভোগী তার স্বামীর সঙ্গে উপজেলার কচুয়া এলাকায় একটি কলেজে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার দিকে তাদের পথরোধ করেন কয়েকজন যুবক। এসময় তাদের দুইজনকে ধরে কলেজটির পাশে গজারি বনে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। পরে খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাতেই সখীপুর থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। মামলার পরপরই ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।