কাহালুতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী জাকারিয়া গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ০৬:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
- / 203

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী বিপিএম পিপিএম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান এর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ সংঙ্গীয় ফোর্স সহ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ টায় কাহালু পৌর এলাকার উলট্র গ্রামের নিজ বাসা থেকে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র নাইম হত্যা মামলার ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী জাকারিয়া (৩৪)কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী জাকারিয়া কাহালু পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান এর পুত্র।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল কাহালু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র নাঈম স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ৪ দিন পর অর্থ্যাৎ ৯ এপ্রিল স্কুল ছাত্র নাঈম এর পিতা উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের রোস্তম চাপড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা স্কুল ছাত্র নাঈমকে অপহরণের পর হত্যা করে ইট ভাটায় লাশ পুড়িয়ে ফেল। হত্যার পরও আসামীরা স্কুল ছাত্র নাঈমের পিতার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছিল।
ইতিপূর্বে ওই হত্যা মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামী জাকারিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেননি।
বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ (১ম আদালত) এর বিচারক হাফিজুর রহমান গত ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারী হত্যা মামলার প্রধান আসামী জাকারিয়াকে মৃত্যৃদন্ডাদেশ দেন। হত্যা মামলা হওয়ার পর থেকে প্রধান আসামী জাকারিয়া পলাতক ছিলেন।
মাহমুদ হাসান গত ১০ জুন/২৩ইং তারিখে ওসি হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি কাহালুর কর্নিপাড়া ভাবীর হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে মামলার পরপর গ্রেফতার করেন। মালঞ্চা ইউনিয়নের শিবা-কলমা গ্রামের আতা বাহিনীর প্রধান আতাকে বর্মিজ চাকু সহ গ্রেফতার করেন। কাহালু চারমাথা হতে চাকু সহ সাগাটিয়া গ্রামের সবুজকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য যে, মাহমুদ হাসান কাহালু থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) থাকাকালীন সময়ে চাঞ্চল্যকর এনজিও কর্মী শাহরিয়ার হত্যা মামলা, কাঠমিস্ত্রী আলম হত্যা মামলা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন।