বগুড়া ১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

বগুড়ার সান্তাহারে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখর কামারপাড়া

সজীব হাসান,আদমদীঘি(বগুড়া)প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / 55
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সান্তাহারে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখর কামার পট্রিগুলো ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার কামার শিল্পীরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কুরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি (কাটারি)। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সান্তাহারের কামার পট্রিগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সরেজমিন সান্তাহার পৌর এলাকার হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন আসা-যাওয়া করছেন তাদের দোকানে। আগে যেসব দোকান একজনে চলতো এখন সেসব দোকানে অতিরিক্ত আরো ২/১ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সান্তাহার নতুন বাজরের কামার আরমান হোসেন বলেন, সারা বছর কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।  যদি দুরের খদ্দেররা এবার না আসে তাহলে গত বছরের চেয়ে এবার কাজ অনেকাংশে কম হবে বলে ধারনা করছি।  আরেক কামার সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার মূল্য বেড়ে গেছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রতি টিন কয়লার দাম ছিলো ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেই কয়লা এখন আমাদের ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে ছুরি, দা ও চাপাতির দাম একটু বেড়ে দিয়েছি। তা না হলে আমাদের লাভ হবে না। বাজার এলাকার আরেক দোকানি মিলন হোসেন বলেন, কাজের চাপে কখন খাওয়ার সময় চলে যাচ্ছে আমরা টেরও পাই না। চাপাতি (কাটারি) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। ছোট ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা এবং বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে। এব্যাপারে ক্রেতা নেহাল আহমেদ বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এছাড়া সান্দিড়া থেকে কুদ্দুস নামের এক ক্রেতা এসেছেন গরু জবাই করা ছুরিসহ পুরাতন জিনিসপত্র রিপেয়ারিং করার জন্য। তিনি বলেন অন্যান দিনের চেয়ে ঈদ আসলেই কামাররা একটু মজুরি বেশি নেয়। অপর ক্রেতা সাগর হোসেন বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কামাররা তাদের ছুরি, দা, চাপাতির তৈরীর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বগুড়ার সান্তাহারে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখর কামারপাড়া

আপডেট সময় : ০৫:১২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
সান্তাহারে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখর কামার পট্রিগুলো ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার কামার শিল্পীরা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কুরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি (কাটারি)। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সান্তাহারের কামার পট্রিগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সরেজমিন সান্তাহার পৌর এলাকার হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন আসা-যাওয়া করছেন তাদের দোকানে। আগে যেসব দোকান একজনে চলতো এখন সেসব দোকানে অতিরিক্ত আরো ২/১ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সান্তাহার নতুন বাজরের কামার আরমান হোসেন বলেন, সারা বছর কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।  যদি দুরের খদ্দেররা এবার না আসে তাহলে গত বছরের চেয়ে এবার কাজ অনেকাংশে কম হবে বলে ধারনা করছি।  আরেক কামার সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার মূল্য বেড়ে গেছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রতি টিন কয়লার দাম ছিলো ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেই কয়লা এখন আমাদের ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে ছুরি, দা ও চাপাতির দাম একটু বেড়ে দিয়েছি। তা না হলে আমাদের লাভ হবে না। বাজার এলাকার আরেক দোকানি মিলন হোসেন বলেন, কাজের চাপে কখন খাওয়ার সময় চলে যাচ্ছে আমরা টেরও পাই না। চাপাতি (কাটারি) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। ছোট ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা এবং বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে। এব্যাপারে ক্রেতা নেহাল আহমেদ বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এছাড়া সান্দিড়া থেকে কুদ্দুস নামের এক ক্রেতা এসেছেন গরু জবাই করা ছুরিসহ পুরাতন জিনিসপত্র রিপেয়ারিং করার জন্য। তিনি বলেন অন্যান দিনের চেয়ে ঈদ আসলেই কামাররা একটু মজুরি বেশি নেয়। অপর ক্রেতা সাগর হোসেন বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কামাররা তাদের ছুরি, দা, চাপাতির তৈরীর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।