কাহালুতে ভাবী আছমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী দেবর মুকিম গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / 69

শনিবার দুপুরে বগুড়ার কাহালুর কালাই ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেবর মুকিম (৪৫) এর কিল-ঘুষি ও ধাক্কায় ভাবী আছমা বেগম (৬০) গুরুত্বর অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। আছমা বেগম মাঝপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী। জানা যায় মাঝপাড়া গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র আব্দুল হাকিম ও মুকিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
সংবাদ পেয়ে কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম ওয়াহিদ ফিরোজ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় আছমা বেগমের স্বামী আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপর কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম ওয়াহিদ ফিরোজ সঙ্গীয় ফোর্স সহ কাহালুর কালাই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কর্ণিপাড়া হতে ওই মামলা প্রধান আসামী মুকিমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুকিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলা অপর আসামীকে গ্রেফাতের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছ্। উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে কাহালুতে উদ্দীপন এনজিও কর্মী এস এম শাহরিয়ার হত্যা মামলার দ্রুত উদঘাটন এবং মামলার মূল আসামী সহ অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার, ২০২০ সালে কাঠমিস্ত্রী আলম হত্যা মামলার দ্রুত উদঘাটন এবং মামলার মূল আসামী সহ অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করেছিলেন কাহালু থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান। এছাড়াও উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিন্ধন্দী শাহিদা ধর্ষণ মামলার আসামীদেরকে তিনি দ্রুত চিহিৃত করে গ্রেফতার করেছিলেন।