বগুড়া ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

বগুড়ার সোনাতলায় জোড়পূর্বক কৃষকের জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু দিয়ে বালু উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / 119
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার সোনাতলায় পাকুল্লা ইউনিয়নের চারালকান্দি গ্রামে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর রক্ষা অপদা বাঁধের পূর্বপাশের কৃষকের জমির থেকে  জোড়পূর্বক কেটে বিক্রি করছে একই এলাকার নজরুল ইসলাম বেকুল,রশিদুল ইসলাম ও মোর্শেদ কিবরিয়া টাইম নামের ৩ ভূমিদস‍্যু। এ ছাড়াও ভূমিদস‍্যুরা জোড়পূর্বক ওই নিরিহ মানুষগুলোর জমিতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ জমির মালিকদের।
সরজমিনে দেখা যায়,পাকুল্লার চারালকান্দি অপদা বাঁধ ও পূর্ব সুজাইপুর গ্রামের মাঝে যমুনা চরে মালিকানা জমি থেকে জোড়পূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি হচ্ছে। এরকিছূ দূরে ওই ভূমিদস‍্যুরা একইস্থানে ২টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এ সময় ব‍্যবসায়ী বেকুলকে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে। ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কারণে
মালিকানা জমিগুলো বিশাল গর্তে পরিনত হচ্ছে এবং আগ্রাসী যমুনা নদী তীর রক্ষাবাঁধ হুমকিতে পড়ছে। জমির মালিক চারালকান্দি গ্রামের  মোহাম্মদ আলী মন্টু আকন্দ বলেন বেকুল,রশিদুলরা জোড়পূর্বক আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে ও বালু তুলে বিক্রি করছে। আমরা ভয়ে ওদের কিছু বলতে পারিনা। একই কথা বলেন অপর জমির মালিক সাইদুর রহমান,আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ ও আব্দুস সামাদ মন্ডল। সামাদ মন্ডল আরও বলেন আমরা অন‍্য দল করি কিছু বলতে গেলেই মামলার ওপর মামলা করবে ওরা।
এ ব‍্যাপারে মাটিবালু ব‍্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম ড্রেজারে বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আপনি সাংবাদিক যত খুশি নিউজ করতে পরেন।

এ ব‍্যাপারে পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম‍্যান লতিফুল বারী টিম বলেন,এর আগে বগুড়ার সাংবাদিকরা কয়েকবার নিউজ করেছে, কই? বালু তোলা এবং মাটি বিক্রি তো বন্ধ হলো না?বন্ধ হলে তো মানুষগুলো উপকৃত হতো।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) কুরশিয়া  আক্তার এর বক্তব্য চাইলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দিতে নারাজ।
একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন। তবে তিনি এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরিশেষে এই নিরিহ মানুষগুলো এ অত‍্যাচার জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বগুড়ার সোনাতলায় জোড়পূর্বক কৃষকের জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু দিয়ে বালু উত্তোলন

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বগুড়ার সোনাতলায় পাকুল্লা ইউনিয়নের চারালকান্দি গ্রামে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর রক্ষা অপদা বাঁধের পূর্বপাশের কৃষকের জমির থেকে  জোড়পূর্বক কেটে বিক্রি করছে একই এলাকার নজরুল ইসলাম বেকুল,রশিদুল ইসলাম ও মোর্শেদ কিবরিয়া টাইম নামের ৩ ভূমিদস‍্যু। এ ছাড়াও ভূমিদস‍্যুরা জোড়পূর্বক ওই নিরিহ মানুষগুলোর জমিতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ জমির মালিকদের।
সরজমিনে দেখা যায়,পাকুল্লার চারালকান্দি অপদা বাঁধ ও পূর্ব সুজাইপুর গ্রামের মাঝে যমুনা চরে মালিকানা জমি থেকে জোড়পূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি হচ্ছে। এরকিছূ দূরে ওই ভূমিদস‍্যুরা একইস্থানে ২টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এ সময় ব‍্যবসায়ী বেকুলকে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কাজ তদারকি করতে দেখা গেছে। ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কারণে
মালিকানা জমিগুলো বিশাল গর্তে পরিনত হচ্ছে এবং আগ্রাসী যমুনা নদী তীর রক্ষাবাঁধ হুমকিতে পড়ছে। জমির মালিক চারালকান্দি গ্রামের  মোহাম্মদ আলী মন্টু আকন্দ বলেন বেকুল,রশিদুলরা জোড়পূর্বক আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে ও বালু তুলে বিক্রি করছে। আমরা ভয়ে ওদের কিছু বলতে পারিনা। একই কথা বলেন অপর জমির মালিক সাইদুর রহমান,আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ ও আব্দুস সামাদ মন্ডল। সামাদ মন্ডল আরও বলেন আমরা অন‍্য দল করি কিছু বলতে গেলেই মামলার ওপর মামলা করবে ওরা।
এ ব‍্যাপারে মাটিবালু ব‍্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম ড্রেজারে বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আপনি সাংবাদিক যত খুশি নিউজ করতে পরেন।

এ ব‍্যাপারে পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম‍্যান লতিফুল বারী টিম বলেন,এর আগে বগুড়ার সাংবাদিকরা কয়েকবার নিউজ করেছে, কই? বালু তোলা এবং মাটি বিক্রি তো বন্ধ হলো না?বন্ধ হলে তো মানুষগুলো উপকৃত হতো।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) কুরশিয়া  আক্তার এর বক্তব্য চাইলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দিতে নারাজ।
একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন। তবে তিনি এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরিশেষে এই নিরিহ মানুষগুলো এ অত‍্যাচার জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানান।