শিরোনাম ::
নোটিশ ::
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সন্ত্রাসীদের দিয়ে দিনমজুরের বাড়ীঘর উচ্ছেদ, জমি দখলের চেষ্টা

ফরহাদ হোসেন,সারিয়াকান্দি(বগুড়া)প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
- / 131

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কামালপুর ইউনিয়নের পাইকরতলী গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টায় এক দিন মজুর পরিবারের বাড়ীঘর উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী লোকজন। এ বিষয়ে ১০ মে বুধবার রাতে গোলাপি বেগম বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাইকরতলী গ্রামের দিন মজুর হানিফ প্রামানিকের স্ত্রী গোলাপী খাতুন গত কয়েকদিন আগে ১২ জন দাতার কাছে থেকে রেজিষ্ট্রি মূলে পাইকরতলী মৌজায় রাস্তা সংলগ্ন ৪৪৩০ দাগে ঘরসহ ৭শতাংশ জমি ক্রয় করে। এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে গোলাপী খাতুন জানান, সহায় সম্বল সবকিছু বিক্রি করে আমি ঘরসহ এই জমি কিনি। স্বামী সন্তান নিয়ে ওই দিনই ঘরে আসলে আমাকে ও আমার স্বামীকে রাস্তা সংলগ্ন জমি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র জমি নিতে বলে পাশের জমির মালিক সামছুল হক। আমরা রাজী না হওয়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ছামছুল হক ২০/২২ জন লোক নিয়ে এসে বাড়িঘর উচ্ছেদ করে এবং ঘরের আসবাবপত্র, হাড়ি পাতিলসহ সকল মালামাল পাশের ধান ক্ষেতে ও রাস্তায় ফেলে গেছে। ওরা দেশিও অস্ত্র, দা, ছুরি ও লাঠিসোঠা নিয়ে আসায় ভয়ে আমরা বাধা দিতে পারিনি। ৯৯৯ ফোন করার পর পুলিশ আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গোলাপী খাতুনের শ্বাশুড়ী আনিছা বেওয়া বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলে জমিটি কিনে নেওয়ার পর থেকেই সামছুল বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। জমি না ছাড়ার কারণে মঙ্গলবার গভীর রাতে সে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার ছেলের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করার পর গাছ লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের সাথে জমি দাতা আরিফ ডাক্তারদের জমি নিয়ে একটু সমস্যা ছিল পরে আমরা মিমাংসা করে নিয়েছি। এখন দেখতেছি ঘর বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে কারা যেন রাতের আধারে গাছ লাগিয়েছে। প্রায় দুই আড়াই বছর ধরে আরিফ ডাক্তার ঘর তুলে রেখেছিল। ঘরসহ জায়গা বিক্রি করে দিলে গোলাপী খাতুন তা কিনে নেয়। মিলন নামে এক জমি দাতা জানান, আমরা রাস্তার সাথেই ঘরসহ ৭ শতক জমি গোলাপী খাতুনের কাছে বিক্রি করেছি। এবং কয়েকদিন আগে দলিলও করে দিয়েছি।
এলাকার আবু হানিফ ও আব্দুস সাত্তার নামের ব্যক্তিরাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। বিবাদী ছামছুল হকের সাথে মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে তিনি জানান গোলাপী খাতুন আমাদের জায়গায় ঘর তুলেছে বিধায় আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। এর বেশি আর তথ্য দিতে পারবে না বলে জানান।
এ বিষয়ে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক শামিম জানান, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে সাথে সাথেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি, তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
সারিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনায় গোলাপী খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেছেন। উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।