বগুড়ার গাবতলীতে কৃষকের পাশে ‘প্রজন্ম’

- আপডেট সময় : ০৭:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
- / 106

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ভাঙ্গির পাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধি কৃষক দুলু মিয়া শারিরিক প্রতিবন্ধি হওয়ার কারণে চরম অনটনে দিন চলে তার। ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি ধান লাগিয়েছেন। সেই ধান কাটার ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না তিনি। তার এই বিপদে খেত থেকে ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে তুলে দিতে এগিয়ে এসেছেন বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম। কৃষক দুলু মিয়া বলেন, ১বিঘা বর্গা নিয়ে ধান লাগিয়েছি বাবা। প্রজন্মের সদস্যরা আজ আমাকে ধান কেটে দেওয়ায় আমার অনেক টাকা বেঁচে গেল। এর আগেও একবার আমার জমিতে ধান কেটে দিয়েছিল তারা। আমার খুব উপকার হলো। আমি ধন্যবাদ জানাই এই প্রজন্মের সদস্যদের কে।
প্রজন্মের সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানুর ইসলাম শাকিল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে ছাত্র ও যুব সমাজ অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য এই মৌসুমে ধান কাটা শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা এসেছি একজন শারিরিকভাবে প্রতিবন্ধি কৃষকের পাশে দাড়াতে। শারিরিক প্রতিবন্ধি হওয়ার কারনে তাকে কেউ শ্রমিক হিসেবে নিতে চায়না। তার এই ১বিঘা বর্গা নেওয়া জমিতে আমরা ধান কেটে দিচ্ছি এবং তার বাড়ীতে পৌছে দিব। আমরা কাউকে দেখানোর জন্য আসিনি বা কোন ছবি তোলার জন্য আসিনি। আমরা নিতান্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য এসেছি। বিপদের সময় অসহায় কিছু কৃষকের পাশে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তিনি আরো বলেন, অসহায় কৃষক, শ্রমিক, দুস্থ মানুষদের অতীতে বিপদে পাশে ছিল স্থানীয় তরুণদের নিয়ে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রজন্ম’। গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের সুখানপুকুর এলাকায় প্রজন্ম নামের এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল করোনা সংক্রমণের আগেই। শুরুটা ছিল মাদকবিরোধী আন্দোলন, জুয়া, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, গুজব, জঙ্গিবাদ, সাইবার অপরাধ, নারী নির্যাতন, ইভ টিজিং প্রতিরোধ ও রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। সেভাবেই চলছিল সংগঠনের কার্যক্রম। এরপর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় প্রজন্ম নামে অন্য এক লড়াইয়ে। শুধু কৃষকের ধান কেটে দেওয়া নয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই সংগঠনটি মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ও মাইকিং করেছে। সড়কে যানবাহন থেকে শুরু এলাকার বাজার ও বাড়িতে বাড়িতে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছে। বাজারের বিভিন্ন স্থানে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই)। এড়াছা ঈদে অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন শাড়ি লুঙ্গি, সেমাই-চিনিসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী। অনেকে লেখা পড়া করতে পারেনা তাদের পাশে দাড়িয়েছে প্রজন্ম।বিভিন্ন অপকর্ম সমাজ থেকে কমানোর জন্য আমরা কাজ করে থাকি। এছাড়া আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য দিয়ে সর্বদা সহযোগীতা করে থাকি ।