বগুড়ায় গন্ধগোকুলের আক্রমণে আহত ৪

- আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
- / 131

বগুড়ায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি গন্ধগোকুলের আক্রমণে চারজন আহত হয়েছেন। পরে গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করেছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সদস্যরা।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের দত্তবাড়ি সোনালি ব্যাংকের পাশে মোস্তফা অভির বাসা থেকে গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করেন তারা।
গন্ধগোকুলটি ফাতেমা বেগম, হিমু, অমিতসহ চারজনকে কামড় দেয়। এতে তারা আহত হন। দুপুর ২টার দিকে স্থানীয়রা তীরকে গন্ধগোকুলটি উদ্ধারের জন্য জানায়। তীরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর কবিরকে জানালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আসতে পারেনি। পরে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়া উপ-বন সংরক্ষক মতলুবুর রহমানের নির্দেশে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সামাজিক বন বিভাগের একটি টিম উপস্থিত হয়।
এক পর্যায়ে সামাজিক বন বিভাগ এর টিম ও তীরের সদস্যদের সহযোগিতায় গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করে সামাজিক বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।
তীরের সাধারণ সম্পাদক হোসেন রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতিতে অন্তর্ভুক্ত। একসময় গন্ধগোকুল প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে তেমন চোখে পড়ে না।
তীরের উপদেষ্টা আরিফুর রহমান জানান, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে।