বগুড়া ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

বগুড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন! গ্রেপ্তার ৩

বগুড়া বুলেটিন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / 115
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাই ও বন্ধুরা হত্যা করে কিশোর মালেক সরদারকে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর এমন দাবি করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।

২৯ শে এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ। এর আগে শুক্রবার দুপচাঁচিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন, চেঙ্গা গ্রামের নিহতের আপন বড় ভাই তারেক (২১) ও মোক্তার হোসেন (২১) এবং আদমদীঘির মুরইলের মাহবুব (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাহবুব, মোক্তার ও তারেক একসাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই ও মাদক সেবন করতেন। এসব বিষয় জানতো তারেকের ছোট ভাই মালেক। সে তার ভাই তারেককে এসব অপরাধ না করার জন্য নিষেধ করতো এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানো ভয় দেখিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় হত্যার তিন থেকে চারদিন আগে তারেককে মারধর করে মালেক। এর জেরে তারেক ও অন্যরা মালেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ধানখেতে শ্বাসরোধ করে মালেককে হত্যা করে অভিযুক্ত তিন জন।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ বলেন, রাতে মালেক ও মোক্তার একসাথে কাজ শেষে ফিরছিল। তার কথাবার্তা সন্দেহমূলক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনাটি বের হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে তাঁরা । সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া চেঙ্গা মহল্লা বাড়ির পাশের ধান খেত থেকে শুক্রবার সকালে মালেক সরদার নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মালেক দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ডের একটি মুরগী দোকানের কর্মচারী ছিল। মরদেহ উদ্ধারের পর নিহত মালেকের মা তারা বানু জানিয়েছিলেন, মালেক প্রতিদিনই ঠিক সময়েই দোকান থেকে বাড়িতে ফিরতো।

বৃহস্পতিবার রাতে সে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে মালেকের মরদেহ দেখতে পান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বগুড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন! গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাই ও বন্ধুরা হত্যা করে কিশোর মালেক সরদারকে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর এমন দাবি করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।

২৯ শে এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ। এর আগে শুক্রবার দুপচাঁচিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন, চেঙ্গা গ্রামের নিহতের আপন বড় ভাই তারেক (২১) ও মোক্তার হোসেন (২১) এবং আদমদীঘির মুরইলের মাহবুব (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাহবুব, মোক্তার ও তারেক একসাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই ও মাদক সেবন করতেন। এসব বিষয় জানতো তারেকের ছোট ভাই মালেক। সে তার ভাই তারেককে এসব অপরাধ না করার জন্য নিষেধ করতো এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানো ভয় দেখিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় হত্যার তিন থেকে চারদিন আগে তারেককে মারধর করে মালেক। এর জেরে তারেক ও অন্যরা মালেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ধানখেতে শ্বাসরোধ করে মালেককে হত্যা করে অভিযুক্ত তিন জন।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ বলেন, রাতে মালেক ও মোক্তার একসাথে কাজ শেষে ফিরছিল। তার কথাবার্তা সন্দেহমূলক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনাটি বের হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে তাঁরা । সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া চেঙ্গা মহল্লা বাড়ির পাশের ধান খেত থেকে শুক্রবার সকালে মালেক সরদার নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মালেক দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ডের একটি মুরগী দোকানের কর্মচারী ছিল। মরদেহ উদ্ধারের পর নিহত মালেকের মা তারা বানু জানিয়েছিলেন, মালেক প্রতিদিনই ঠিক সময়েই দোকান থেকে বাড়িতে ফিরতো।

বৃহস্পতিবার রাতে সে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে মালেকের মরদেহ দেখতে পান তিনি।