বগুড়া ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

দিনাজপুরে এশিয়ার বৃহৎ ঈদগাহে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

এনামুল মবিন সবুজ,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
  • / 114
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দিনাজপুরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একসঙ্গে ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে দাবি আয়োজকদের।
সকাল ৭টা থেকেই মুসল্লিরা সমবেত হতে শুরু করেন এ ঈদগাহে। ঠিক ৯টায় শুরু হয় নামাজ। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহসহ করা হয় মোনাজাত।
বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেন- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ সর্বস্তরের জনতা।
জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন এ জামাতে। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ এ জামাত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের জন্য এরই মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহ মিনার ও ময়দানটি আরও সম্প্রসারণের জন্য দেশি-বিদেশি কনসালটেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় মিনারগুলোর খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঈদের জামাতে আসা রফিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করে খুব ভালো লাগল। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা এনামুল নাঈম সুমন বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। এবার এসেছি বন্ধু-বান্ধব বড় ভাইসহ। সবাই মিলে আনন্দ করে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। এক সঙ্গে সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচাগার, ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিক্যাল টিম। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুষ্ঠুভাবে নামাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দিনাজপুরে এশিয়ার বৃহৎ ঈদগাহে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
দিনাজপুরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একসঙ্গে ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে দাবি আয়োজকদের।
সকাল ৭টা থেকেই মুসল্লিরা সমবেত হতে শুরু করেন এ ঈদগাহে। ঠিক ৯টায় শুরু হয় নামাজ। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহসহ করা হয় মোনাজাত।
বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেন- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ সর্বস্তরের জনতা।
জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন এ জামাতে। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ এ জামাত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের জন্য এরই মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহ মিনার ও ময়দানটি আরও সম্প্রসারণের জন্য দেশি-বিদেশি কনসালটেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় মিনারগুলোর খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঈদের জামাতে আসা রফিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করে খুব ভালো লাগল। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা এনামুল নাঈম সুমন বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। এবার এসেছি বন্ধু-বান্ধব বড় ভাইসহ। সবাই মিলে আনন্দ করে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। এক সঙ্গে সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচাগার, ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিক্যাল টিম। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুষ্ঠুভাবে নামাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।