শিরোনাম ::
নোটিশ ::
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মন্দিরে চুরি, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
- / 159

শনিবার রাত ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চুড়ি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি হলো- দুপচাঁচিয়া থানার ছোটধাপ গ্রামের মৃত মোসলেম প্রাং এর ছেলে সেলিম প্রাং (৩৮) এবং কাহালু থানার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে এমরান খন্দকার (২৪)। এর আগে গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়ার চেঙ্গা পালপাড়া দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ওই দুইজন গত ৩১ মার্চ রাত ১১.০০ টার দিকে চুরির উদ্দেশ্যে বাহিরে বের হয়। তখন তারা ঘুরতে ঘুরতে তারা চেঙ্গা পালপাড়া আমছ শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে যান। সেখানে মন্দিরের বারান্দায় দান বারা দেখে তারা প্রথমে ওই বাগের তালা কেটে বাক্স থেকে নগদ ১,০০০/-টাকা চুরি করেন। পরে তারা একটি বাঁশ দিয়ে মন্দিরের পিছনের গ্রিলের পাতি ভেঙ্গে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করেন। মন্দিরে রক্ষিত কালীমাতার প্রতিমার হাতে থাকা ০৩টি স্বর্ণের চুড়ি চুরি করে নিয়ে যান। পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত সেলিমের হেফাজত থেকে ০১টি চুড়ি উদ্ধার হয়। এছাড়াও এমরানের হেফাজতে থাকা চুড়ি ০২টি এমরান তার বাড়ির পাশে নদীতে ফেলে দেয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চুরি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছিল। তাদেরকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করায় স্বল্পতম সময়ে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপরাধীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে বিষয়ে জেলা পুলিশ সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ধর্মীয় সম্প্রতি সৌহার্দ্য যাতে বজায় থাকে সে জন্য বগুড়া জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, চুরির ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। চুরি যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, ওই দুই আসামী মাদকসেবী ছিলেন। সেলিমের বিরুদ্ধে ৩৭টি মাদক ও চুরি মামলা এবং এমরান দেকার এর বিরুদ্ধে ০৩টি মাদক মামলা রয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।