বগুড়া ০১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo কাহালুর মুরইল ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ Logo জন্মদিনে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরুজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন আ’লীগনেতা আজাহার আলী Logo শেরপুরে সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী’র স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo শিবগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo অভিভাবকদের আতঙ্ক হওয়ার কোন কারণ নেই -পুলিশ সুপার Logo কাহালুর মুরইল ইউ পি সদস্য হাসানের অর্থ আত্মসাৎ, ইউএনও কাছে লিখিত অভিযোগ Logo কাহালুর মুরইলের ৪টি পাড়ার প্রায় ৩’শ বাড়ীওয়ালার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য দরজা ও দেওয়ালে চিরকুট Logo আত্রাইয়ে তারুণ্যের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বগুড়ার শিবগঞ্জে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের সাথে মতবিনিময় ও বৃক্ষ রোপন Logo দুই মাস পর দেশে ফিরলো সৌদিপ্রবাসী মুসার মরদেহ
নোটিশ ::
"বগুড়া বুলেটিন ডটকম" এ আপনাকে স্বাগতম। বগুড়ার প্রত্যেক উপজেলায় ১জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ফাঁকা উপজেলাসমূহ- সদর, শাজাহানপুর, ধনুট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম

ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / 94
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এ খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

কাজেই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ খাতে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যবসায়ীদের নানা সময় ঘুস দিতে হয়। তাদের চাঁদাবাজিরও শিকার হতে হয়। সম্প্রতি এসএমই খাতের দুর্নীতি নিয়ে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক রিপোর্টে এ ধরনের আরও অনেক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এসএমই খাতের ব্যবসা পরিচালনায় অবকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। এ খাতে ঋণের প্রবাহ ঠিক নেই। যেহেতু এসব ব্যবসায়ীর অনেকের প্রযুক্তিজ্ঞান সীমাবদ্ধ, সেহেতু তাদের প্রযুক্তিজ্ঞান বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই মনে করেন এ খাতে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। কাজেই এ খাতের বিকাশের স্বার্থে দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে এসএমই। দুর্নীতি এ খাতের উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে সীমিত করে দেয়। কাজেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সম্প্রতি বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে দেশে পণ্য আমদানি জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। এক সময় বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করা হতো। এখন এসব পণ্যের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্যও আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এ ঋণের ওপর চাপ বাড়ছে। জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়ার্স ক্রেডিটের মোট স্থিতি স্থানীয় মুদ্রায় ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এসব তথ্য থেকেই স্পষ্ট, দেশে আমদানিনির্ভরতা কাটানো কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমদানিনির্ভরতা কাটাতে হলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা কাটানো যাচ্ছে না। এদিকে ডলার সংকটের কারণে আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটেও দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। মহামারির কারণে দেশের শিল্প খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছিল। সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ওপরও। সব বাধা অতিক্রম করে সম্প্রতি দেশের শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও জ্বালানি সংকটে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগ দূরের কথা, বিদ্যমান শিল্পকারখানা টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ব্যবসার পরিবেশ এখনো অনুকূল নয়। এ কারণে নতুন শিল্পোদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহবোধ করেন না। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও দেশে কেন ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সাধারণভাবে বলা যায়, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেশে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বড় বাধা। সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কী তা উল্লেখ করেছেন। কাজেই দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ

আপডেট সময় : ০৯:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

দেশের উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এ খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

কাজেই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ খাতে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যবসায়ীদের নানা সময় ঘুস দিতে হয়। তাদের চাঁদাবাজিরও শিকার হতে হয়। সম্প্রতি এসএমই খাতের দুর্নীতি নিয়ে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক রিপোর্টে এ ধরনের আরও অনেক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এসএমই খাতের ব্যবসা পরিচালনায় অবকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। এ খাতে ঋণের প্রবাহ ঠিক নেই। যেহেতু এসব ব্যবসায়ীর অনেকের প্রযুক্তিজ্ঞান সীমাবদ্ধ, সেহেতু তাদের প্রযুক্তিজ্ঞান বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই মনে করেন এ খাতে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। কাজেই এ খাতের বিকাশের স্বার্থে দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে এসএমই। দুর্নীতি এ খাতের উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে সীমিত করে দেয়। কাজেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সম্প্রতি বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে দেশে পণ্য আমদানি জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। এক সময় বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করা হতো। এখন এসব পণ্যের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্যও আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এ ঋণের ওপর চাপ বাড়ছে। জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়ার্স ক্রেডিটের মোট স্থিতি স্থানীয় মুদ্রায় ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এসব তথ্য থেকেই স্পষ্ট, দেশে আমদানিনির্ভরতা কাটানো কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমদানিনির্ভরতা কাটাতে হলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা কাটানো যাচ্ছে না। এদিকে ডলার সংকটের কারণে আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটেও দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। মহামারির কারণে দেশের শিল্প খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছিল। সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ওপরও। সব বাধা অতিক্রম করে সম্প্রতি দেশের শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও জ্বালানি সংকটে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগ দূরের কথা, বিদ্যমান শিল্পকারখানা টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ব্যবসার পরিবেশ এখনো অনুকূল নয়। এ কারণে নতুন শিল্পোদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহবোধ করেন না। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও দেশে কেন ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সাধারণভাবে বলা যায়, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেশে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বড় বাধা। সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কী তা উল্লেখ করেছেন। কাজেই দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।